১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারী ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় এলে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের জন্য এ অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। লর্ড হার্ডিঞ্জ এ দাবীর যৌক্তিকতা অনুভব করে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
১৯১২ সালের ২৭মে বেঙ্গল গভর্নমেন্ট ব্যারিষ্টার রবার্ট নাথানকে সভাপতি করে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এই কমিটির উল্লেখযোগ্য সুপারিশ ছিল: (এক) বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ও সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক পরিচালিত। (দুই) এটি হবে আবাসিক ও শিক্ষাদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়। (তিন) ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা - এর শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে।
বড়লাট লর্ডচেমর্সফোর্ড কর্তৃক ১৯১৭ সালের ৬ জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মসূচী নির্ধারণের জন্য লিডস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম.ই. স্যাডলার এর সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিশন “কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন” নামে পরিচিত। এ কমিশনের দুইটি সুপারিশ উল্লেখযোগ্য: (এক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তিকরণ ক্ষমতা থাকবে না। এটি হবে একমাত্র বিশিষ্ট শিক্ষাদানকারী শিক্ষায়তন। (দুই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্বায়ত্ত্বশাসিত একটি প্রতিষ্ঠান।
কমিশনের সুপারিশমতে বিশ্ববিদ্যাল হবে আবাসিক হল কেন্দ্রিক। এর ফলে ছাত্রদের সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটবে। প্রত্যেক শিক্ষক এক একটি হলের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে ছাত্রদেরকে খুব কাছাকাছি থেকে শিক্ষা প্রদান করবেন। প্রত্যেক হলে একজন প্রভোষ্টের তত্ত্বাবধানে ৪০০ ছাত্র থাকবে। প্রতিটি হল ৪ বা তার বেশী হাউজে বিভক্ত করা হবে। যার প্রত্যেকটির দায়িত্বে থাকবেন এক একজন হাউজ টিউটর। প্রতি হলে টিউটোরিয়েল ক্লাশ, কমনরুম, লাইব্রেরী এবং লেকচার থিয়েটার থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট এর ১৯ আর্টিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসূচী গ্রহণ ও নীতি নির্ধারণের জন্য কোর্ট, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, একাডেমিক ফ্যাকাল্টি Authorities হিসেবে ঘোষিত হয়। ১৯২১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্ট, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, একাডেমিক কাউন্সিল এবং অনুষদসমূহ সর্বময় কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলার গভর্নর পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের প্রধান ব্যক্তি। কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে চ্যান্সেলর কর্তৃক উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উপাচার্য শিক্ষা নির্বাহী প্রধান। চ্যান্সেলর কর্তৃক কোষাধ্যক্ষ (অবৈতনিক) নিযুক্ত হন। কোষাধ্যক্ষ, পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয় কোর্ট ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের একজন সদস্য। রেজিষ্ট্রার, কোর্ট ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য।
১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় আইন সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং ১৮ মার্চ সর্বসম্মতিক্রমে এ্যাক্ট – এ পরিণত হয়। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল কর্তৃক “দি ইউনিভার্সিটি এ্যাক্ট” অনুমোদন লাভ করে। এর আওতায় ঢাকায় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়। এই আইনের বলে ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ দেশের ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা বিশ্ববাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। শুধু শিক্ষা, গবেষণা, ক্রীড়া, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে এই বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। শিক্ষা বিস্তারের প্রায় সকল শাখায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পদচারণা এবং উজ্জ্বল উপস্থিতি প্রনিধানযোগ্য।
নিম্নে অনুষদ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের বিবরণ দেয়া হলো:
কলা অনুষদ |
বাংলা বিভাগ |
সংস্কৃত বিভাগ |
পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ |
ইংরেজি বিভাগ |
আরবি বিভাগ |
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ |
উর্দু বিভাগ |
ইতিহাস বিভাগ |
দর্শণ বিভাগ |
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ |
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ |
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ |
নাট্যকলা বিভাগ |
সংগীত বিভাগ |
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ |
বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃত বিভাগ |
বিজ্ঞান অনুষদ |
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ |
গণিত বিভাগ |
রসায়ন বিভাগ |
পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান বিভাগ |
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ |
বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজী বিভাগ |
আইন অনুষদ |
আইন বিভাগ |
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ |
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ |
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ |
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ |
মার্কেটিং বিভাগ |
ফিন্যান্স বিভাগ |
ব্যাংকিং বিভাগ |
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ |
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ |
ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ |
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ |
অর্থনীতি বিভাগ |
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ |
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ |
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ |
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ |
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ |
লোক প্রশাসন বিভাগ |
নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ |
পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ |
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ |
উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ |
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ |
জীববিজ্ঞান অনুষদ |
মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ |
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ |
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ |
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ |
অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ |
মনোবিজ্ঞান বিভাগ |
মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ |
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ |
জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগ |
ফার্মেসী অনুষদ |
বিলুপ্ত ফার্মেসী বিভাগ |
ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগ |
ক্লিনিক্যাল ফার্মেসী এন্ড ফার্মাকোলজী বিভাগ |
ঔষুধ প্রযুক্তি বিভাগ |
ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টোকনোলজী অনুষদ |
আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ |
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ |
ভূতত্ব বিভাগ |
ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ |
ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগ |
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ |
চারুকলা অনুষদ |
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট |
পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট |
ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট |
পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট |
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট |
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট |
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট |
তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট |
কলা অনুষদ
১৯২১ সালে বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভবনে কলা অনুষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলা অনুষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ। বাংলা, ইংরেজী, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, সংস্কৃত ও পালি, উর্দু ও ফার্সি, ভাষাতত্ত্ব, নাট্যকলা ও সঙ্গীত, বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব বিভাগসহ মোট ১৪টি বিভাগ এ অনুষদের অন্তর্ভুক্ত। বিভাগগুলোর বিভিন্ন একাডেমিক কাজকর্ম কলা অনুষদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বাংলা (সংস্কৃত ও বাংলা) বিভাগ (১৯২১)
বাংলাদেশ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চা এবং গবেষণার প্রধানতম কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রতিষ্ঠিত হয় সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ। ১৯৩৭ সালের ১৬ই আগস্ট সংস্কৃত থেকে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র অস্তিত্বে বাংলা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমান শিক্ষক সংখ্যা ৩২ জন তন্মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, মহিলা ৬ জন।
২০০৭ সালে সংস্কৃত বিভাগ ও পালি ও বুদ্দিস্ট স্টাডিজ বিভাগ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে।
সংস্কৃত (সংস্কৃত ও পালি এবং সংস্কৃত ও বাংলা) বিভাগ (২০০৭)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যয়ন চলে আসছে। প্রথম পর্যায়ে (১৯২১-১৯৩৭ খ্রি:) বাংলাকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কৃতি ও বাংলা বিভাগ নামে ছিল এর পরিচিত। একক সত্ত্বায় সংস্কৃত বিভাগরূপে এর কার্যক্রম চলতে থাকে দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৯৩৭-১৯৫০ খ্রি:)। পুনরায় বাংলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ‘বাংলা ও সংস্কৃত’ বিভাগ নামে তৃতীয় পর্যায়ে (১৯৫০-১৯৭০ খ্রি:)। এর কর্মতৎপরতা ছিল সচল। এরপর চতুর্থ পর্যায় শুরু হয় ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে।
বর্তমান সংস্কৃত শিক্ষক সংখ্যা ৮ জন, পুরুষ ৫ জন মহিলা ৩ জন।
পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ (সংস্কৃতি ও পালি) বিভাগ (২০০৭)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লগ্নে প্রথম পর্যায় (১৯২১-১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৩৭-১৯৫০ খ্রি: পর্যন্ত সংস্কৃত বিভাগ হিসাবে কার্যক্রম চলে কিন্তু পুনরায় বাংলার সাথে যুক্ত হয়ে বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগ নামে ১৯৫০-১৭০ পর্যন্ত সচল ছিল। ৪র্থ পর্যায়ে ১৯৭০ খ্রি: সংস্কৃত পালি বিভাগ নামকরণ করা হয়। ২০০৭ সালে পালি ও বুদ্ধিস্ট স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমান শিক্ষক সংখ্যা ৫, পুরুষ ৪ জন, মহিলা ১ জন।
ইংরেজী বিভাগ (১৯২১)
১৯২১ সালে কলা অনুষদের অধীনে ইংরেজী বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভাগে প্রথমে রীডার হিসেবে যোগ দেন সি. এল. ওয়ারেন। প্রতিষ্ঠাকালে শিক্ষক ছিলেন ৬ জন। ১৯২২ সালে মোট ১৪ জন শিক্ষার্থী এম.এ. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষক মোট ৩৬ জন এদের ১৫ জন পুরুষ এবং ২১ জন মহিলা। শিক্ষকদের ১৬ জনের পি.এইচ.ডি এবং ১০ জন বিদেশী মাস্টার্স বা সমমানের ডিগ্রী রয়েছে।
আরবি (এরাবিক এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ) বিভাগ (১৯২১)
১৯২১ সালে বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয় “এরাবিক এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ’ নামে। বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা সামস উল-উলামা মওলানা আবু নসর মোহাম্মদ ওয়াহিদ। ১৯৮০ সালে আরবি বিভাগ আলাদা বিভাগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
শিক্ষকের সংখ্যা ১৯ জনু (পুরুষ)। ৭ জন শিক্ষকরে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী রয়েছে।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য (উর্দু ও ফার্সী ১৯২১) বিভাগ
১৯২১ সালে বিভাগটি খোলা হয়। ১৯৪৭ সাল থেকে উর্দু বিষয়ে বি.এ অনার্স ও এম.এ কোর্স প্রবর্তন করা হয়। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনে উর্দু ও ফার্সী বিভাগ স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮৯ সালের দিকে বিভাগটি আবারও ভাষা ইনস্টিটিউট ভবনে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৯২ সালে পুনরায় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে কলা ভবনের তৃতীয় তলায় সম্মুখ সারিতে স্থানান্তরিত হয়। ২০০৭ সালে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং উর্দু বিভাগ স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে নামরকণ করা হয়। ০৪.০৪.২০০৬ তারিখে সিন্ডিকেট কর্তৃক উর্দু এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
উর্দু (উর্দু ও ফার্সী ১৯২১) বিভাগ
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত উর্দু ও ফারসি বিভাগটি ২০০৭ সালে বিভক্ত হয়ে উর্দু স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে ৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা।
ইতিহাস বিভাগ
১৯২১ সালে ইতিহাস বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে ৩৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ১২ জন মহিলা। ১৮ জনের পি.এইচ.ডি ও ১ জনের বিদেশী মাস্টার্স ডিগ্রী রয়েছে।
দর্শণ বিভাগ
১৯২১ সালে বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজে এই বিভাগের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিভাগটির নাম “দর্শণ ও মনোবিজ্ঞান” রাখা হয়। ১৯৬৫ সনের আগষ্ট মাসে “মনোবিজ্ঞান” দর্শণ বিভাগ থেকে আলাদা বিভাগে আত্মপ্রকাশ করে।
বর্তমানে ২৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলা। এদের ১৪ জনের পি.এইচ.ডি ও ১ জনের বিদেশী মাস্টার্স ডিগ্রী রয়েছে।
ইসলামিক (আরবি ও ইসলামিক) স্টাডিজ বিভাগ
১৯২১ সালে প্রথমে বিভাগটির নাম ছিল এরাবিক এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। ১৯৮০ সালে ইসলামিক স্টাডিজ আলাদা বিভাগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা ১৯ জন।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
১৯৪৮ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮-৪৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান কোর্স চালু হয়।
বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা ২৫ জন। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা।
১৯৭০ সালে এ বিভাগে একটি যাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। মধ্যযুগের মুদ্রা, আলোকচিত্র ও ক্যাম্পাস ভাস্কর্য ও শিলালিপিসহ বিভিন্ন সামগ্রী এই জাদুঘরে রয়েছে।
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ (গ্রন্থাগার বিজ্ঞান)
১৯৫৯ সালে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগটি ‘গ্রন্থাগার বিজ্ঞান’ বিভাগ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭-৮৮ শিক্ষাবর্ষে তিন বছর মেয়াদী কোর্স চালু করা হয় এবং বিভাগের নতুন নামকরণ করা হয় “গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ”। পরবর্তীতে ২০০২ সালে বিভাগটির পুন:নামকরণ হয় তথ্যবিজ্ঞান ও গন্থাগার ব্যবস্থাপনা।
বর্তমানে এই বিভাগে শিক্ষাদানে নিয়োজিত আছেন ৯ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা।
নাট্যকলা (নাট্যকলা ও সংগীত) বিভাগ
নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ ১৯৮৯ ও ১৯৯৩ সালে যথাক্রমে নাট্যকলা ও সংগীত বিষয়ে সাবসিডিয়ারী কোর্স চালু করে। ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষে এম.এ প্রিলিমিনারী কোর্স এবং ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে নাট্যকলা ও সংগীত বিষয়ে প্রথম স্নাতক সম্মান কোর্স চালু করা হয়। ২৬ নভেম্বর ১৯৯৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী সংলগ্ন ‘নাটমন্ডলম্ব নামে এই বিভাগের একটি আধুনিক মিলনায়তন উদ্বোধন করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আলোক ও শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সম্বলিত এই মিলনায়তনের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২০০ জন।
বর্তমানে ৬ জন খন্ডকালীন শিক্ষক সহ ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন, এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা। এদের ৩ জনের পি.এইচ.ডি ও ২ জনের বিদেশী মাস্টার্স ডিগ্রী রয়েছে।
সংগীত (নাট্যকলা ও সংগীত) বিভাগ
নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ ১৯৮৯ ও ১৯৯৩ সালে যথাক্রমে নাট্যকলা ও সংগীত বিষয়ে সাবসিডিয়ারী কোর্স চালু করে। ২০০৯ সালে সংগীত বিভাগ নামে আলাদা বিভাগে রূপান্তরিত হয়।
ভাষাবিজ্ঞান (ভাষাতত্ত্ব) বিভাগ
ভাষাতত্ত্ব বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে।
বর্তমানে ৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা।
১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে সম্মান কোর্স চালু করা হয়।
বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃত (বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব) বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৯ সনে তুলনামূলক ধর্ম বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এক বছরের মধ্যেই এর নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন্স’ রাখা হয়। ১৪.০৬.২০০৯ তারিখে বিভাগের নাম পুনরায় পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন্স এন্ড কালচার’।
মোট শিক্ষক সংখ্যা ৮ জন। পুরুষ ৬ জন, মহিলা ২ জন।
বিজ্ঞান অনুষদ
১৯২১ সালে ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্নে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিত এই তিনটি বিভাগ নিয়ে বিজ্ঞান অনুষদ চালু হয়। পরবর্তীকালে পর্যায়ক্রমে ফলিত পদার্থ (১৯৬৫), ভূতত্ত্ব (১৯৬৫), ফলিত রসায়ন (১৯৭২), ফার্মেসী (১৯৬৪), প্রাণরসায়ন (১৯৫৪), উদ্ভিদবিদ্যা (১৯৫৪), মৃত্তিকা বিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা (১৯৫৪), ভূগোল (১৯৪৮), পরিসংখ্যান (১৯৫০), মনোবিজ্ঞান (১৯৬৫) ও শিল্পকলা (শুধু পাস কোর্স) বিভাগসমূহ খোলা হয় এবং বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হয়। ‘ক’ ইউনিট ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ভর্তির কাজ কর্মে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে বিজ্ঞান অনুষদ ডীন।
পদার্থবিজ্ঞান (পদার্থবিদ্যা) বিভাগ
তদানিন্তন ঢাকা কলেজের পুরাতন ভবন সুদৃশ্য কার্জন হল ভবনে বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ সালে। ঐ সময়ে বিভাগের কার্যকর স্থানের পরিমাণ ছিল ১৩,৫০০ বর্গফুট। প্রতিষ্ঠালগ্নে ঢাকা ও জগন্নাথ কলেজের স্নাকোত্তর ও অনার্স পাশ স্তরের স্নাতক ছাত্রদের নিয়ে প্রথম ক্লাশ শুরু হয় ৪ জুলাই ১৯২১।
বর্তমানে ৪৪ জন শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষকের মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা। এদের ৩৩ জনের পি.এইচ.ডি বা সমমানের ডিগ্রী রয়েছে এবং ৪ জনের বিদেশী মাস্টার্স বা সমমানের ডিগ্রী রয়েছে।
গণিত বিভাগ
১৯২১ সালে উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণিতবিদ প্রফেসর ভূপতিমোহন সেন ও ড. নলীনীমোহন বসুর নেতৃত্বে গণিত বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে পূর্ব বাংলা সরকারের সেক্রেটারিয়েট ভবনের কক্ষে এবং কিছুকাল কার্জন হলের পশ্চিম পাশের দোতলায় গণিত বিভাগ অবস্থিত ছিল। তখন ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর বর্তমান প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নিচতলার পূর্বদিকের অর্ধাংশে বিভাগটি সাময়িক স্থান লাভ করে। এরপরে ঐ ভবনের তিন তলায় পশ্চিম দিকের অর্ধাংশ গণিত বিভাগকে দেয়া হয়। সর্বশেষ ১৯৬৪ সালে বর্তমান বিজ্ঞান ভবনের তিন তলায় গণিত বিভাগটির জন্য স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়। এই ভবনের ১৯৭৪-৭৫ শিক্ষাবর্ষে এম.ফিল কোর্স ও ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে ৪ বছর মেয়াদী সমন্বিত অনার্স কোর্স চালু হয়। এই ভবনে সেমিনার লাইব্রেরী এবং কম্পিউটার বিভাগের জন্য কক্ষ রয়েছে।
বর্তমানে বিভাগে ৩৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জন পি.এইচ.ডি, ৭ জন এম.এম এবং এম. ফিল ডিগ্রীধারী।
রসায়ন বিভাগ
১৯২১ সালে বিজ্ঞান অনুষদের তিনটি বিভাগের একটি রসায়ন বিভাগ। কার্জন হল সংলগ্ন সরকারী ভবনে প্রথম স্থাপিত হয়। কার্জন হল সংলগ্ন এলাকায় ছিল রসায়ন বিভাগ। মূল রসায়ন ভবনে রসায়ন বিভাগের কয়েকটি কক্ষ ক্লাশ করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৯৬২ সালে তৃতীয় তলা এবং ১৯৭৩ সালে নতুন ভবন নির্মিত হয়। সেখানে রসায়ন বিভাগের বেশ কয়েকটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয় ক্লাশ নেবার জন্য। মোকারম হোসেন খন্দকার বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের পর নীচতলা, দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলা বরাদ্দ দেয়া হয়।
বর্তমানে শিক্ষক ৪৭ জন। এদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ১১ জন মহিলা। ৩৪ জন শিক্ষকের পি.এইচ.ডি ও ২ জনের বিদেশী মাস্টার্স ডিগ্রী রয়েছে।
পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান (পরিসংখ্যান) বিভাগ
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৫০ সালের ১ অক্টোবর।
বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৩৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং মহিলা ৬ জন। বর্তমানে পি.এইচ.ডি বা সমমানের ডিগ্রীধারী ৫ জন। বর্তমানে ৬ জন পি.এইচ.ডি করছেন।
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ১০ মে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং একই বছর স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে। তিন বছর চলার পর উক্ত বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে বিভাগটি পুনর্জীবিত করা হয় এবং পূর্বের ন্যায় পুণরায় গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে খন্ডকালীন শিক্ষকসহ মোট তিন জন শিক্ষক (পুরুষ), নয় জন ছাত্র ও একজন ছাত্রী (২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষ) রয়েছেন।
বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজী বিভাগ
বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজী বিভাগ ০৩.১১.২০০৮ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা ২ জন (পুরুষ)। এর মধ্যে একজন খন্ডকালীন।
আইন অনুষদ
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অনুষদ আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আইন অনুষদের অধীনে শুধুমাত্র দুবছর মেয়াদী স্নাতক কোর্স এল.এল.বি (সান্ধ্যকালীন) চালু ছিল। ১৯৭৩-৭৪ শিক্ষাবর্ষ হতে এল.এল.বি কোর্সের পরিবর্তে তিন বছর মেয়াদী এল.এল.বি. (সম্মান) কোর্স প্রবর্তন করা হয়। ১৯৭৭-৭৮ শিক্ষাবর্ষ হতে এল.এল.বি. (অনার্স) কোর্স চর বছর করা হয় এবং ১৯৭৬-৭৭ শিক্ষাবর্ষ হতে এল.এল.এম. কোর্স খোলা হয়। ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষ হতে আইন অনুষদে সর্বপ্রথম এম.ফিল. কোর্স প্রবর্তিত হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্দ্যেশে “এশিয়া ফাউন্ডেশনের” আর্থিক সহায়তায় ১৯৯০ সালে ‘মুট কোর্ট সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আইন বিভাগ
বর্তমান মেডিকেল কলেজের পূর্বদিকে ১৯২১ সালে আইন অনুষদের অধীনে আইন বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন আইন মহাবিদ্যালয়গুলো আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭৬ সালে এল.এল.এম. – (এ) কোর্স চালু হয় তবে ১৯৭৯ সালে এল.এল.এম – (বি) কোর্স শুরু হয়।
বর্তমানে ৩৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা এবং ২২ জন পুরুষ।
বিজনেস স্টাডিজ (বাণিজ্য) অনুষদ
১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদের আওতাধীনে বানিজ্য বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর ১৯৭০ সালে বাণিজ্য বিভাগকে একটি পূর্ণাঙ্গ অনুষদে উন্নীত করা হয়। প্রথমত: বাণিজ্য অনুষদে বিভাগ ছিল দুইটি: হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ (১৯৭০)। তারপর ১৯৭৪ সালে আরো দুটি বিভাগ: ফিন্যান্স বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগ খোলা হয়। ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাণিজ্য অনুষদের নতুন নামকরণ করা হয় “বিজনেজ স্টাডিজ” অনুষদ।
মোট শিক্ষক ১৬২ জন, এরমধ্যে ১৪৪ জন পুরুষ ও ১৮ জন মহিলা শিক্ষক।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ (ব্যবস্থাপনা) বিভাগ
ব্যবস্থাপনা বিভাগ ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম দিকে এই বিভাগ বাণিজ্য অনুষদের অধীনে থাকলেও বর্তমানে বিজনেজ স্টাডিজ অনুষদের অধীনস্থ। ১৯২২ সাল থেকেই বাণিজ্য শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এই শিক্ষার প্রচার ও প্রসার ঘটেছে। বি.কম (সস্মান) ও এম.বি.এ. ডিগ্রীতে রূপান্তর করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের সমমানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কোর্স কারিকুলাম আধুনিকীকরণ করে ১৯৭৮ সালে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে এই বিভাগে ৪ বছরের বি.বি.এ (সম্মান) প্রোগ্রাম ও ১ বছরের এম.বি.এ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। নৈশকালীন Executive MBA প্রোগ্রাম চালু করা হয়। পাশাপাশি এই বিভাগে ব্যবস্থাপনার নানা শাখায় Executive Development প্রোগ্রামও চালু আছে। ১৯৯৬ সালে এই বিভাগে ৩৫টি কম্পিউটার সজ্জিত ল্যাব চালু করা হয় এবং শ্রেণীকক্ষে মাইক্রোফোন ও প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। গবেষণা কার্যক্রমকে সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে এই বিভাগ নিজস্ব গবেষণা জার্নাল ‘Journal of Management’ প্রকাশনা শুরু করে।
বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন ও মহিলা ২ জন। ১২ জন শিক্ষক পি.এইচ.ডি. ও ১০ জন বিদেশী মাস্টার্স বা সমমানের ডিগ্রীধারী। প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১০ জন এদের সবাই পুরুষ।
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (হিসাববিজ্ঞান) বিভাগ
১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বাণিজ্য বিভাগ কলা অনুষদের অধীনে ছিল। ১৯৭০ সালে বাণিজ্য অনুষদের অধীনে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিভাগে বর্তমানে ২৭ জন পূর্ণকালীন ও ২ জন খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন।
বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা মোট ৪৭ জন (পুরুষ ৪৩ জন, মহিলা ৪ জন) এদের মধ্যে পি.এইচ.ডি. বা সমমানের ডিগ্রীধারী ৭ জন। বিদেশী (মাস্টার্স বা সমমানের) ডিগ্রী আছে ৯ জনের এবং পি.এইচ.ডি করছেন ৫ জন। প্রতিষ্ঠালগ্নে ১০ জন পুরুষ শিক্ষক ছিলেন।
No comments:
Post a Comment